করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। কয়েকদিন আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী হলেও আবার ঊর্ধ্বগামী। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার করোনার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাবাহিত বায়ুকণা বাতাসে ৩৩ ফুট পর্যন্ত ভাসতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।
ভারতের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয় বাঘবন জানান, ছোট ছোট অ্যারোসল বা জলকণা কিন্তু ১০ মিটার (৩২.৮ ফুট) পর্যন্ত যেতে পারে। ভারত সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি হাঁচি দিলে কিংবা কাশলে তার মুখ থেকে নির্গত হওয়া ছোট ছোট জলকণা সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত দূরে যেতে পারে। করোনাভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই বিষয়টিতেও এবার থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে সব মানুষের করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই তারা মারাত্মকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বদ্ধ ঘরে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। সেই কারণে ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালালে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। কারণ যদি কোনও সংক্রমিত ড্রপলেট ঘরে প্রবেশ করে থাকে তবে তা ওই বদ্ধ ঘরেই আটকে পড়বে ও সেখান থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পরবে। পাশাপাশি অফিস বা বাড়িতে দরজা-জানলা খোলা রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে।
এছাড়া দরজার হাতল, সুইচ, চেয়ার, টেবিল ও মেঝে যে সব স্থানে ড্রপলেট পড়লে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে, সেই সব স্থান বারবার পরিষ্কার করা উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
উল্লেখ্য, মহামারির শুরুতে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, করোনা ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। সাধারণত ড্রপলেট ২ মিটারের বেশি যায় না। তাই এই দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সামাজিক দূরত্ববিধি প্রণয়ন করা হয়েছিল।