News Bangla

সালিশ না করার জন্য ওসিকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন আদালত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবিরকে বিচারাধীন মামলার সালিশ না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষকে নিয়ে থানায় সালিশ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যাসহ ক্ষমা প্রার্থনা করার পর ওসিকে সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের (দেওয়ানি আদালত, নাগেশ্বরী) সিনিয়র সহকারী জজ রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদেশে ওসিকে সতর্ক করে আদালত বলেন, ‘ওসিকে তার থানা চত্বরে সিভিল মামলাসহ যেকোনও মামলার সালিশ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হলো। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে আদালত কোনও ধরনের ক্ষমা ও অনুকম্পা ছাড়া শক্ত হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে দেওয়ানি আদালতে বিচারাধীন মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষকে নিয়ে থানায় সালিশ করার অভিযোগে গত ১৫ জুন কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের সিনিয়র সহকারী জজ রবিউল ইসলাম নাগেশ্বরী থানার ওসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তারও লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

পরে গত ২৪ জুন আদালতে হাজির হয়ে ওসি রওশন কবির তার লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন। আদালত তার লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে আজ (২৯ জুন) আদেশের দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা শ্রী বীরেন্দ্রনাথ মোদক বাদী হয়ে নাগেশ্বরী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে বিবাদী প্রমোদ গংকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত। বিবাদী আদালতে হাজির হয়ে লিখিত আপত্তি দাখিলের জন্য সময়ের প্রার্থনা করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাদীপক্ষের অনুকূলে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাদী আদালতে লিখির অভিযোগ করে জানান, বিবাদী প্রমোদ চন্দ্র গং বিষয়টি থানা পুলিশের মাধ্যমে সুরাহার উদ্দেশ্যে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ এ নিয়ে বাদী ও বিবাদীকে তলব করে থানায় সালিশ বৈঠকের অয়োজন করে। এ সময় বাদী থানা পুলিশকে বিচারাধীন মামলার কাগজপত্র দেখালেও পুলিশ বাদীকে জোরপূর্বক বিরোধ মীমাংসার চাপ প্রয়োগ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী বীরেন্দ্রনাথ মোদক।