News Bangla

সরকারকে রোজিনা ইস্যুতে কে কিভাবে বিশ্রী অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে?

ফজলুল বারী।। সাংবাদিক সোর্স থেকেই তথ্য পায়। সোর্স গোপনেই তথ্য ডকুমেন্টস দেয়। এরজন্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চুরির মামলা! সোর্সের বিরুদ্ধে কি কখনো চুরির মামলা হয়? হয়না। কারন পেশাগত স্বচ্ছতার স্বার্থে সাংবাদিক সোর্সকে গোপন রাখে।
আবার অনেক সময় সাংবাদিক সোর্সকে চেনেইনা। আমার এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে।
যেমন সাঈদি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয় তখন বিএনপির সময়। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রনালয়ে লিখিত তথ্যটি আসে। সেটা ছিল সাঈদিকে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী কোন বিমানে চড়তে দেয়া না হয়। সরকারে বিএনপি থাকায় তারা তথ্যটি চেপে গিয়েছিল। আমাকে অজ্ঞাত পরিচয় সোর্স মার্কিন চিঠিটি ফ্যাক্স করে দেয়। সেটি হাতে পেয়ে যখন আমি রিপোর্ট করি তখন আর কেউ না করতে পারেননি।
আমার রিপোর্টকে কেন্দ্র করে দু’বার খালেদা জিয়ার জন্য হেলিকপটার কেনার উদ্যোগ বাতিল হয়। সোর্স কে তা আমি চিনিনা। হয়তো টেন্ডারদাতাদের কেউ হবেন। পুরো ফাইল আসে আমার কাছে। সর্বনিম্ন টেন্ডারদাতাকে না দিয় সর্বোচ্চ টেন্ডারদাতাকে কাজ দেয়া হয়েছে! হেলিকপটার কেনে বিমান বাহিনী। আইএসপিআরকে ফোন করে বিমান বাহিনীর বক্তব্য চাইতেই তারা অবাক। এই ফাইল আমার হাতে গেলো কি করে। যিনি ফোন ধরেছিলেন তিনি শুধু বলেছেন, তার সংগে কথা হয়েছে এটা যেন কেউ না জানে। রিপোর্ট ছাপার পর বিমান বাহিনীর কোন প্রতিবাদ দিলে তা যাতে ছেপে দেই।
এভাবে একবার নয়, দু’বার এ ধরনের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য আলাদা বিমান কেনার উদ্যোগ পন্ড হয়। আমাদের এসব রিপোর্টে উপকার পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে এসবকে প্রচারনার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। সেই আওয়ামী লীগ সরকারকে রোজিনা ইস্যুতে কে কিভাবে বিশ্রী অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে?