‘যা কিছু মানুষের কল্যাণে- তারই সাথে শেকড়ের সন্ধানে’ শ্লোগানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুক্রবার উদযাপিত হলো সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ মূলক সংগঠন শেকড়ের সন্ধানের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব। দিনটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় গুণীজন সম্মাননা, কবিতা পাঠ, মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সকালে শহরের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন। প্রবীন শিক্ষক বজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাগরদাঁড়ী মধুসূদন একাডেমীর পরিচালক কবি ও গবেষক খসরু পারভেজ। মূখ্য আলোচক ছিলেন কৃষ্টিবন্ধন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সবুজ শামীম আহসান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেকড়ের সন্ধানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মিজানুর রহমান মায়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুকনগর কলেজের অধ্যাপক হাশেম আলী ফকির, সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসাইন, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী ও সাংবাদিক এস আর সাঈদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মণিরামপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, মদনপুর কলেজের অধ্যাপক সফিয়ার রহমান, বাঁকড়ার আবুল কালাম আজাদ, মঙ্গলকোটের কবি ইব্রাহিম রেজা, পাঁজিয়ার বাবুর আলী গোলদার, নাট্টকার, কবি মুনছুর আলী, মিনিস্টার শোরুমের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইয়াসমিন এ্যানি। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ১৩ জন গুণীজনের হাতে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সম্মাননা পত্র তুলে দেন।
সম্মাননা পাওয়া গুণীজনরা হলেন ড. খ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক সফিয়ার রহমান, সাহিত্যিক হাসান ওয়াহিদ, প্রবীন শিক্ষক বজলুর রহমান খান, প্রবীন সাংবাদিক সামসুজ্জামান, মুহম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসাইন, কবি ইব্রাহিম রেজা, বাবুর আলী গোলদার, নাট্টকার, কবি মুনছুর আলী, সাজ্জাদ হোসেন, চিত্র শিল্পী সাখাওয়াৎ হোসেন ও মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইয়াসমিন এ্যানি। কবি মকবুল মাহফুজ কবিতা আবৃতিসহ মুক্ত আলোচনার পর সবশেষে শেকড়ের সন্ধানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মিজানুর রহমান মায়া সমগ্র অনুষ্ঠানটি সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসাইনকে উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন।