যশোর-চুকনগর মহাসড়কের কেশবপুরের মঙ্গলকোট বাজারের পাশে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে বধ্যভূমির সরকারি জায়গা কাঠ ব্যবসায়ীর হাত থেকে দখলমুক্ত করেছেন কেশবপুরের ইউএনও। অবৈধভাবে দখল করে কাঠ ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজারের পাশে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা স্বাধীনতাকামী মানুষকে ধরে এনে মঙ্গলকোট ব্রিজের উপর দাঁড় করে দিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতো।
সেই সব শহীদদের স্মৃতি স্মরণে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়। বধ্যভূমির সরকারি জায়গা দখল করে আলতাপোল গ্রামের আবুল হোসেন (৬৫) অবৈধভাবে কাঠ রেখে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল। এর আগে মৌখিকভাবেও সতর্ক করে বধ্যভুমি থেকে কাঠ অপসারণের কথা বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই কাঠ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বধ্যভূমি এলাকা কাঠ দ্রুত অপসারণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কাঠ ব্যবসায়ী বুধবার বিকেলের মধ্যে ওই স্থান থেকে কাঠ অপসারণ করবেন বলে মুচলেকা প্রদান করেছেন।