News Bangla

ভাড়া পরিশোধ এবং দোকানঘর ছেড়ে না দেয়ায় ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কেশবপুরে চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ এবং দোকানঘর ছেড়ে না দেয়ায় দোকান মালিক ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে দেউলি গ্রামের মোঃ এনামুল হক জানান,  আমার পিতা কবলা দলিল নং ২৬০৭/১৯৮৬, তারিখ-২৯.০৩.১৯৮৬ খ্রিঃ মূলে শ্রী কার্তিক চন্দ্র সরকার, পিতা বৈদ্যনাথ সরকার, সাং মধ্যকুল, থানাঃ কেশবপুর, জেলাঃ যশোর এর নিকট থেকে ক্রয় সূত্রে (দলিল, খতিয়ান, দাখিলা, হোল্ডিং, পৌর কর পরিশোধ রশিদ- সকল মলিকানা) তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তির মালিক।

আমার ঘরগুলো ২০০৭ সালে শহরের আলতাপোল গ্রামের মোঃ আইয়ুব হোসেন, মোঃ কামরুল ইসলাম, পিং আব্দুল আজিজ ছোট মোঃ সাহাবউদ্দীন, পিং আয়নুদ্দিন মোড়ল, অরুণ কুমার পাল, পিতা- মৃত বৈদ্যনাথ পাল, বরুণ কুমার পাল, পিতা- মৃত বৈদ্যনাথ পালকে মাসিক টাকায় ভাড়া প্রদান করি। তারা ০১/০২/২০০৭ খ্রিঃ তারিখে ১৫০/- টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিতে ০২ (দুই) বছর মেয়াদের শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসা করার জন্য দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে নিয়মিতভাবে দোকান ভাড়া পরিশোধ করতো।

চুক্তিপত্রে উল্লেখিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর তাদেরকে নতুন করে চুক্তি সম্পাদন অথবা দোকান ঘর খালি করে দিতে বললে তারা নতুনভাবে চুক্তি সম্পাদন করবে মর্মে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতে থাকে। কিন্তু পরে তাদেরকে বিভিন্ন সময় বলার পরও নতুন করে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেনি এবং দোকান ঘরও ছেড়ে দেয়নি।

একপর্যায়ে তারা স্থানীয় ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ মোঃ আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পিতাঃ মোঃ আফসার বিশ্বাস, সাং-আলতাপোল, থানা- কেশবপুর, জেলা- যশোর এর নেতৃত্বে জোটবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং আমাদের পিছে স্থানীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়।

আমাদের বাড়ী থানা শহর থেকে দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে হওয়ায় আমাদের পক্ষে দোকান ঘরগুলো নিয়মিত তদারকি করা কঠিন হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় বাজার কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ভাড়াটিয়া সকলের বাড়ী দোকানের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় বেআইনিভাবে জোরপূর্বক দোকান ঘরগুলো দখল করে রেখেছে।