News Bangla

ভবদহ এবার বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছে

সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক।। মানুষগুলো মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে ধান কেটে আটি বেঁধে মাথায় নিয়ে ফিরছে প্রধান রাস্তায় উঠার জন্য। একজন গান গাইছে আর অন্য সবাই সে গানের সাথে কোরাস করছে। তবে রাস্তার দুই পাশে শহরের মতো ইট-পাথরের বাড়ি নেই, আছে দিগন্তবিস্তৃত ধানের ক্ষেত। সোনালী পাকা ধানের মৌ-মৌ গন্ধ নাকে এলো। এক বুক নিঃশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ ভালো লাগে।

চাষীরা ধানের আটি মাথায় নিয়ে ধীরে ধীরে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতে লাগলেন। এবার যশোরের দু:খ ভবদহ এলাকায় সেচযন্ত্র দিয়ে বিলের পানি সরিয়ে বোরা ধানের আবাদ করেছে চাষীরা। সেচের ব্যাপারে সহযোগিতায় করেছে সরকারের প্রতিষ্ঠান বিএডিসি। চাষীরা নেহালপুরের আড়পাতা বিল থেকে ধান তুলছিলেন।

বাইক রাস্তার পাশে বাবলা গাছের তলায় রেখে মাঠে তাকালাম। দু’পাশে ধান ক্ষেত। দু-চোখে যতদূর দেখা যায় ততদূর শুধু হলদে পাকা ধানের ক্ষেত। হালকা মিষ্টি বাতাসে আধ পাকা ধানের সোনালি শীষগুলো অনবরত দুলছিল। নানা রং-বেরঙের প্রজাপতি ওই ধানের শীষে ভেসে বেড়াতে দেখা গেলো।
ভবদহ এবার বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছে
ভবদহ

নেমেছিলাম এক ধান ক্ষেতে। পরে ধানক্ষেতের আইলের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে ফিরে আসতে লাগলাম। পেছনে পড়ে রইল ধানক্ষেত। যে ক্ষেতে মিশে আছে কৃষকের শ্রম, সাধনা আর ভালবাসার সোনালি ফসল। যে ফসলে পূর্ণ হবে খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলোর দু-বেলা দু-মুটো খাবারের নিশ্চয়তা আর সুন্দর আগামী দিন।

সেখানে কথা হয় বিল কপালিয়ায় ধান চাষ করা কৃষক মো: আফজাল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আমাদের এলাকায় সারাবছরই পানিতে ডোবা থাকত। কেউ ফসল আবাদ করতে পারতনা। বিএডিসির সহযোগিতায় এবার আমরা বোরো ধান উৎপাদন করতে পেরেছি। এতে আমাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। আসলে গ্রামে না গেলে বোঝা যায় না কৃষকের মনের কথা।