কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধে এক কৃষকের এক বিঘা জমির ধান প্রতিপক্ষরা রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার বাগদা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম গত শুক্রবার অর্ধলাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাগদা গ্রামের কৃষক তছিরউদ্দীন ও শফিকুল ইসলাম খা গং বুড়িহাটি গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে ৪ বিঘা জমি ভোগ দখল করে আসছেন। তছিরউদ্দীন ও শফিকুল ইসলাম খা গং বাগদা গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুবাদে ওই জমি বুড়িহাটি গ্রামে তার চাচা মৃত জনাব আলী খার ছেলে আনোয়ার আলীর কাছে বর্গা দিয়ে আসেন।
দীর্ঘদিন বর্গা নেয়ার সুযোগে আনোয়ার আলী প্রতারণা করে ৪ বিঘা জমির মধ্যে থেকে দেড় বিঘা জমি অন্যের কাছে বন্ধক রাখেন। এ খবর জানতে পেরে শফিকুল ইসলাম খা গং ওই দেড় বিঘা জমি দখলে নিয়ে চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ করেন।
সকল পরিচর্যার পর ধান পরিপক্ক হলে শুক্রবার বেলা ১১টায় বুড়িহাটি মাঠে গিয়ে দেখেন তার সমস্ত জমির ধান তার চাচাতো ভাই আনোয়ার আলী কেটে নিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অর্ধলাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগে তার চাচাতো ভাই আনোয়ার আলী, মশিয়ার রহমান, মুস্তাক দপ্তরী ও সাহেব আলী দপ্তরীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে বুড়িহাটি গ্রামের সাবেক মেম্বার হেকমত আলী বলেন, গত মাঠ জরিপের সময় ওই জমি শফিকুল ইসলাম খা গংদের নামে রেকর্ড হয়েছে। আনোয়ার আলীর কোন কাগজপত্র নেই। সে জোর করে জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে।
আনোয়ার আলী খা বলেন, শফিকুল ইসলাম নিজেই তার জমির ধান কেটে নিয়ে উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
কেশবপুর থানার ওসি তদন্ত ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বিরোধীয় জমিতে প্রবেশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ধান কাটার অভিযোগ পেয়েছি। কারা ধান কেটেছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।