ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ভ্যাকসিন বিভাজন দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ এজেন্ডা সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ বিষয়ক আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দৃষ্টান্ত প্রয়োজন যা বৈষম্যকে দূর করতে সামগ্রিকভাবে মোকাবেলা করবে।
আগে ধারণ করা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বল দেশ বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে বিশেষ করে সহায়তা করতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘ ফুড সামিটে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ পাঁচ দফা দফা সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জোট ও অংশিদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় কমিয়ে আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা সকল নাগরিকের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।
৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তঃ সংযুক্ত।
ধারণ করা বক্তৃতায় ‘২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যা ১০ বিলিয়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরও খাদ্য উৎপাদন করা অপরিহার্য।
শেখ হাসিনা তার পরামর্শে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা। সূত্র-একাত্তর টিভি।