ম্যারিনা নাসরিন। চঞ্চল চৌধুরী হিন্দু এই বিষয় নিয়ে যারা তাঁর পোস্ট বা বিভিন্ন জায়গায় নেগেটিভ মন্তব্য করেছেন বা করছেন তাদের বেশির ভাগ দেখবেন অর্ধ শিক্ষিত । এরা কোন রকম ইন্টারনেট চালাতে পারে তাই ফেসবুকে আসছে।
এই যে নিজ ধর্ম ব্যতীত অন্য ধর্মের লোককে যারা অপছন্দ করে বা ঘৃণা করে তাদের মন মগজে অশিক্ষার বীজ জন্মগত ভাবেই পেয়েছে। পারিবারিক ভাবে এরা শিক্ষা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়া বলয়ে বড় হয়ে উঠেছে।
আমাদের স্যার ছিলেন নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তী তিনি আমার মাকে গুরুমা বলে ডাকতেন অর্হাৎ মা বলে ডাকতেন আমাদের বাড়িতে তিনি সবসময় ছেলের মর্যাদা পেয়েছেন। আমার সবথেকে কাছের বান্ধবী ছিল সুপ্রিয়া বীনা সুভদ্রা। এবং আমিও তাদের কাছের ছিলাম।
বর্তমানে আমার কলেজের সহকর্মী উর্বশী, সীমা বা সোমা কারো বিষয়েই এই চিন্তা আসে না যে তারা বা আমরা ভিন্ন ধর্মের। আমরা অনেক সময় একই প্লেট থেকে খাই। তবে চিন্তার বিষয় হলো, আমরা আমাদের শিশু কৈশোরে ধর্ম নিয়ে বা পোশাক নিয়ে এমন টানাটানি দেখিনি যা এখন দেখছি।
এই দেশের বৃহৎ একটা অংশ ক্রমেই পেছনের দিকে যাচ্ছে যাদের মধ্যে জ্ঞান চর্চ্চার স্পৃহা নেই, ইনোভেটিভ কোন কাজে আগ্রহ নেই, পরিশ্রমে অনীহা ,এরা ধর্মটাকে জাস্ট লেবাসে পরিণত করে ফেলেছে। এদের মধ্যে সততার অভাব প্রকট। ক্রমেই এই জাতি দেশের জন্য একটা বোঝায় পরিণত হচ্ছে। বিষয়টি শুধু আমাদের দেশের জন্য উদ্বিগ্নতার নয়, আমাদের দেশে যেমন মুসলিম উগ্রতা বাড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশে হিন্দু উগ্রতাও বাড়ছে সেটা তাদের দেশের বিভিন্ন পত্রিকার খবরের মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায়।
মোট কথা এই উগ্রতা কারো জন্য ভালো নয়। না দেশ না জাতি না বিশ্ব। আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে উল্লেখ করেছেন কিন্তু এরাই মানুষকে মানুষ বলে গণ্য না করে ধর্মীয় দৃষ্টি থেকে পরিমাপ করছে। যাইহোক, যে সমস্ত আবাল ধর্ম নিয়ে এসব আবালীয় মন্তব্য করবে তাদেরকে বর্জন করুন। পত্রিকাওয়ালারা তাদের আইডিকে ব্লক করুক ধীরে ধীরে ছাগলের সংখ্যা কমে আসবে। চঞ্চল চৌধুরীর মা আমারো মা – দ্যাটস অল ।