কেশবপুরের ত্রিমেহিনী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী কার্যালয় ও কর্মী সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম আনিছুর রহমান আনিসের নেতৃত্বে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ হামলায় নৌকা প্রতিকের ৬ কর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ররিববার কেশবপুর থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।
থানায় দায়ের অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান আনিসের কর্মি-সমর্থকরা এলাকায় আচরণ বিধি লংঘন করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছে। এ নিয়ে তারা মনিরামপুর ও কলারোয়া উপজেলার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়াও করে এনেছে। এসব সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করে ত্রাসের সৃষ্টি করছে। এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওহিদুজ্জামান মিন্টুর কর্মি-সমর্থকরা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আনিছুর রহমান আনিসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ত্রিমোহিনী বাজারে নৌকা প্রতিকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করে সেখানে থাকা নেতাকর্মীদের মারপিট করে আহত করে। এসময় নৌকা প্রতিকের কর্মী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জব্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে দুই লক্ষধিক টাকা লুট করে। সেখানে থাকা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। তাদের হামলায় নৌকা প্রতিকের কর্মী আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, রফিকুল ইসলাম মোড়ল, সেলিম হোসেন ও শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন ও সেকেন্ড অফিসার পিন্টু লাল দাশ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। হামলা মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আনিছুর রহমান আনিস বলেন, তারা নিজেরা নিজেদের অফিস ভেঙ্গে তার বিরুদ্ধে দোষ চাপাচ্ছে। এসব ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।