News Bangla

নাশকতা মামলায় মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড

আদালত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। সোমবার বেলা ১১টার পর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামুনুলের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাতেই ১৭টি মামলা রয়েছে।

রবিবার মামুনুলকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে বেলা একটায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রথমে শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখান থেকে বেলা দুইটায় নেওয়া হয় তেজগাঁও থানায়। পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে। পরে সেসব সমন্বয় করা হবে।

 

তেজগাঁও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৭ মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় মামুনুল হক সাত নম্বর আসামি। চাঁন মিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা জি এম আলমগীর শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে এলোপাতাড়ি মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি দেওয়া, ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগ সৃষ্টি ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ডিবির মতিঝিল বিভাগে তদন্তাধীন আটটি মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন দুটি মামলা এবং তেজগাঁও বিভাগে তদন্তাধীন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল হক। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় তদন্তাধীন একটি এবং পল্টন থানায় তদন্তাধীন চারটি মামলায় তাঁর নাম রয়েছে। ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টি মামলাই হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর।