News Bangla

ত্রিমোহিনী কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু নির্মাণ হলো না আজও

পরেশ দেবনাথ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও কেশবপুরের ত্রিমোহিনী কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু নির্মাণ হলো না। কপোতাক্ষ নদের উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে দু’পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। তিন উপজেলার প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কাছে বাঁশের তৈরি টলমলে ঝুঁকিপূর্ন এই সাঁকোটি রীতিমত এক আতঙ্কের নাম।

জীবিকার তাগিদে এলাকার লোকজন এবং শিক্ষার তাগিদে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে।

এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, ওই সাঁকোর উপর দিয়ে কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর, সাতবাড়িয়া, ত্রিমোহিনী, চাদড়া, জাহানপুর, কড়িয়াখালী, বেগমপুর, কোমরপোল, মনিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি, ত্রিপুরাপুর, শয়লা, চালুয়াহাটি এবং কলারোয়া উপজেলা খোর্দ্দ, বাটরা, দেয়াড়া, জানখা, নতুনবাজার, গড়ান বাজার, কাশিয়াডাঙ্গা, যুগিখালী, কামারালী সহ ২১ গ্রামের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের সময় কপোতাক্ষ নদের উপর দিয়ে সেতু করার অঙ্গিকার করলেও নির্বাচনী বৈতরনী পার হযে গেলে কেউ খোঁজ করেন না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও নদের উপর সেতু নির্মানের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের দানা বেঁধেছে।

মানুষের পদভারে ছিন্নভিন্ন এই (খেয়া ঘাটের) কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু না থাকায় মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য নিয়ে, কেউবা কাঁদে বেগুনের খাঁচি, কেউবা মাথায় সবজি, কারো কাঁধে ধান, পাট নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পার হতে হচ্ছে। সময় মত উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। তাছাড়া পরিবহন খরচও বেশি। গুরুত্বপূর্ন এই সেতুটি নির্মিত হলে কেশবপুর, কলারোয়াসহ অত্র এলাকার লোকজনের জীবনযাত্রা পাল্টে যাবে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকে ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বইয়ের বোঝা কাঁধে নিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকো পারা-পার হচ্ছে। এলাকাবাসি জানান ত্রিমোহিনী কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু নির্মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । এখানে একটি সেতু নির্মান তাদের প্রাণের দাবি। তারা নিজেদের প্রয়োজনে প্রতিবছর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই বাঁশের সাঁকোটি সংস্কার করে থাকেন। এই নদের উপর একটি সেতু নির্মান দুটি উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী।

কেশবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হয়। কপোতাক্ষ নদের উপর সেতুটি নির্মিত হলে কেশবপুর, কলারোয়া ও মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। নদের উপর দ্রুত একটি সেতু নির্মান আমাদের দু’পাড়ের মানুষের চিরদিনের প্রাণের দাবি। তিন আরও বলেন, কেশবপুরের এমপি তথা যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার উন্নয়নমূখী জনদরদী মানুষ। তিনি ওয়াদা করেছিলেন এবং আমরা আশাবাদী।