জামিন পেলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ২২ নভেম্বর, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগরতলা আদালতে হাজির করা হয় সায়নীকে। এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে আগরতলার পূর্ব মহিলা থানায় নিয়ে যায় ত্রিপুরা পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করে গতকাল বলেছিলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে সায়নীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং সাজানো। রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামীকাল (২২ নভেম্বর) আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আছে। তা বানচাল করতেই সায়নীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরও তাকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। যাতে সায়নী জামিন পেতে পারেন।’
সায়নীকে গ্রেপ্তারের কারণ কী? তৃণমূলের দাবি, শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে নির্বাচনী প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। এ সময় যানজটে আটকে যায় তার গাড়ি। গাড়ির পেছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ায় আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন ও ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন। তৃণমূল নেতা-নেত্রীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশের অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। সেই সূত্র ধরেই রোববার (২১ নভেম্বর) পুলিশ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয়। সায়নীসহ বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। সায়নীসহ প্রত্যেককেই আগরতলার পূর্ব মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।