News Bangla

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিভ্রান্তিকর কথা না বলতে অনুরোধ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিভ্রান্তিকর কথা না বলতে অনুরোধ জানিয়েছেন । ঠাকুরগাঁওয়ে সাংগঠনিক সফরে গিয়ে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক আলাপে এই অনুরোধ জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক সভায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র মেনে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

ফখরুল বলেন,গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে আছেন। এর আগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তারেক রহমান। দলে থেকেই তিনি ধারাবাহিকভাবে এই পদে এসেছেন। তিনি বিদেশে থাকলেও সফলতার সাথে দলকে সুসংগঠিত করছেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, এখানে নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না! দল তার হাতে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তিনি কৃতিত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই দল সুসংগঠিত হবে এবং অচিরেই একটা জোড়ালো আন্দোলন সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফখরুল।

ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেবের বয়স হয়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক, জ্ঞানী ও গুণীজন। বয়স হয়ে গেলে মানুষ কিছু উল্টোপাল্টা কথা বলতে পারেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার মন্তব্য যুক্তিসংগত না। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, কথা বলছেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবছেন না, এসব কথা বললে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ব্যাহত হবে।

ডা.জাফরুল্লাহকে অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হয়, সেসব কথা যেন তিনি না বলেন। তারেক রহমানই বিএনপির নেতা। তারেক রহমানই আমাদের সুসংগঠিত করছেন। পুরো দল তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। একাত্তর টিভি।