News Bangla

গান্ধীজীর একমাত্র বাঙালি দেহরক্ষীর বাড়ি ছিল যশোর

গান্ধীজীর একমাত্র বাঙালি দেহরক্ষীর বাড়ি ছিল যশোর। হেমন্ত সেনগুপ্ত। বাড়ি যশোর। বৃটিশ পুলিশের চাকরি করতেন। কলকাতা পুলিশের পুলিশের অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনার হিসাবে হেমন্ত অবসর নিয়েছেন ১৯৫৬ সালে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশভাগের আগেও তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনিই গান্ধিজির সর্বপ্রথম বাঙালি দেহরক্ষী৷

১৯৪৭ সালে গান্ধিজি কলকাতায় এসেছিলেন৷ বেলেঘাটা অঞ্চলে আজকের গান্ধি ভবনেই উঠিছিলেন। তখন গান্ধি ভবনের নাম ছিল হায়দারি মঞ্জিল৷ ঠিকানা ১৫০ বি বেলেঘাটা মেন রোড৷ আজকের মতো এমন সুন্দর সাজানোও ছিল না৷ হেমন্ত সেনগুপ্তের ছেলে চণ্ডী সেনগুপ্ত এখনও জীবিত। তখন চণ্ডী সেনগুপ্তের বয়স ১২ বছর, গান্ধীকে তিনি বাপু বলে সম্বোধন করতেন।

সম্প্রতি তিনি মিডিয়াকে বলেন, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর — এই ২৫ দিন কলকাতায় গান্ধিজির নিরাপত্তার ভার ছিল বাবার হাতে ৷ হায়দারি মঞ্জিল থেকে প্রার্থনাসভা, প্রাক-স্বাধীন ও স্বাধীনত্তোর ভারতে বাবাই ছিলেন ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অফিসার এবং বাপুর ছায়াসঙ্গী ৷ তিনি আরও বলেন, ১৩ আগস্টের ঘটনা বলি৷ সেদিন গান্ধিজি বেলেঘাটায় আসতেই কয়েকজন হিন্দু যুবক তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়৷ তাদের বক্তব্য, ১৯৪৬-এর ১৬ আগস্ট হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়েছিল৷ সে সময় তাদের রক্ষা করার কেউ ছিল না৷ এখন কেন আপনি মুসলিমদের বাঁচাতে এসেছেন? তাদের শান্ত করে বাপু বলেন, আগেকার ঘটনার কথা তুলে এখন প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়৷ যারা হত্যা করছে, আগুন লাগাচ্ছে, লুঠ করছে, তারা নিজেদের ধর্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে৷ নোয়াখালির মুসলিম নেতাদের আমি বলেছি, যদি ওখানে আবার দাঙ্গা শুরু হয়, তা হলে আমাকে আগে হত্যা করতে হবে৷ গত বছরের কথা তুলে কেন এই সময়কে আপনারা বিষাক্ত করছেন? আপনারা যতই প্রতিবাদ করুন, আমি এই এলাকা ছাড়ব না৷ আমার নাম, আমার কাজ, সবটাই প্রমাণ করে আমি হিন্দু৷ এ সব শুনে যুবকরা শান্ত হয়, গান্ধিজির পাশে দাঁড়ায়৷