News Bangla

কেশবপুরে ২ চোরের গণধোলাই

কেশবপুরে উঠতি বয়সী ২ যুবক চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌর শহরের ব্রহ্মকাটি গ্রামে।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের ছাত্তার মোড়লের ছেলে কবির হোসেন সুমন (২৩) ও পাশর্^বর্তী মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আল-আমিন গাজী (২২) নামের ২ যুবক মিলে কেশবপুর পৌর শহরের ব্রহ্মকাটি গ্রামের কেশবপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর ইসলামের বাড়ীতে গভীর রাতে চুরি করার জন্য বাড়ীর ভেতর প্রবেশ করে।

ওই সময় বাড়ীর মালিক আমিনুর রহমান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ায় ঘুম ভেঙ্গে যায়, হঠাৎ সে তার বসত বাড়ীর ২য় তলায় অপরিচিত লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখে। তাৎক্ষনিকভাবে আমিনুর ২য় তলায় প্রবেশ করলে তার উপর আক্রমণ চালিয়ে ডান হাতে ও বাম কানের নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা চোরকে ধরে ফেলে। ওই সময় পরিরবারের লোকজনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী দ্রুত ছুটে এসে বাড়ীর নিচে থাকা আরও এক চোরকে ধরে গণধোলায় দেয়। পরবর্তীতে ভোর রাতে চুরির চেষ্টার ঘটনা কেশবপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে গণধোলায়ের শিকার ২ চোরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবিষয়ে মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে বাড়ির মালিক আমিনুর ইসলাম জানান।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আহসানুল মিজান রুমী বলেন, গণধোলায়ের শিকার ২ চোরকে হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো। বর্তমানে ২ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, চুরির করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণধোলায়ের শিকার ২ চোর কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।