News Bangla

কেশবপুরে সামান্য স্বস্তির বৃষ্টি, জনজীবন কিছুটা শান্ত

পরেশ দেবনাথ, মঙ্গলকোট।। কেশবপুর কেশবপুরের উপজেলার সর্বত্র মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় জনজীবন কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে। দাপদাহ ধীরে ধীরে কমতে শুরু হয়, পরিবেশ হয় শান্ত।

দীর্ঘ ৬ মাসের মধ্যে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির লেয়ার কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যেয়ে সুপেয় পানিসহ ফসল আবাদে এলাকাবাসী পড়েন বিপাকে। ঝড়-ঝঞ্জা- বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক তাদের কষ্টার্জিত ধান ৯৫ ভাগ ঘরে তুলতে পেরেছেন।

অনেক দিন পর বৃষ্টি হওয়ায় কেশবপুরের জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। গাছ পালার ফিরে আসবে কিছুটা সতেজতা । তবে বেশ কিছুটা সতেজতা ফিরে আসতে শুরু করেছে পাট ও শাক-সবজির। বৃষ্টি না হওয়ায় পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছিল। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

সোমবার রাতে আকাশ মেঘ জমলেও ঝড়ো হওয়ায় মেঘ কেটে যায়। মঙ্গলবার সকালে আকাশে মেঘ জমে ঝড়-ঝঞ্জা ছাড়াই ৪/৫ ঘন্টা টিপ টিপ করে বৃষ্টি হলে স্বস্তি ফিরে আসে মানুষের ভেতর।

পাঁচপোতা গ্রামের পঙ্কজ কুমার বলেন, এই বৃষ্টিতে পাটের দারন উপকার হলো। মঙ্গলকোটের আকবর আলী জানান, আমার সবজি ক্ষেতের বেশ উপকার হয়েছে। বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের মহিতোষ ঘোষ বলেন, আমার ধান সবগুলো বাড়ী আনতে পেরেছি। অন্যদিক পাটগাছের দারুণ উপকার হলো। একই গ্রামের সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, আমি সব ধান ঝেড়ে মলে বিছালীগুলোও পালা দিতে পেরেছি। বসুন্তিয়া গ্রামের দিপঙ্কর দাস বলেন, আমার ধানগুলো ঠিকমত গুছাতে পেরেছি, তাছাড়া সোমবারের ঝড়ে আম-কাঁঠালেরও কোন ক্ষতি হয়নি।

মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কৃষি উপ সহকারী অফিসার পরিতোষ কুমার দাস জানান, এ বৃষ্টিতে কৃষকের খুব উপকার হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে কৃষক তার কষ্টার্জিত ধান বাড়ী আনতে পেরেছে এটা আামাদের বড় পাওয়া। জনজীবন এখন কিছুটা শান্ত।