পরেশ দেবনাথ।। কেশবপুরে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ আব্দুল হামিদ গাজীকে (৮৪) ঈদের নতুন পোশাক নিয়ে দেখতে গেলেন শুভসংঘের বন্ধুরা।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রায় আড়াই বছর ধরে প্যারালাইজড হয়ে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার সকালে কেশবপুর উপজেলা শুভসংঘের বন্ধুরা ঈদ সামনে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজীর হাতে পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি তুলে দেন। এ সময় তাঁর জন্য নেওয়া হয় তরমুজ, পেঁয়ারা, খেজুরসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল।
প্যারালাইজড হয়ে তাঁর কথা বন্ধসহ ডান হাত অচল হয়ে গেছে। তবে তিনি পরিচিতদের চিনতে পারেন। ঈদের পোশাক ও ফলফলাদি নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন উপজেলা শুভ সংঘের সভাপতি খন্দকার শফি, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি বাসুদেব সেন গুপ্ত, নির্বাহী সদস্য কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম খান, কামরুজ্জামান রাজু, সোহেল পারভেজ প্রমুখ। শুভসংঘের বন্ধুদের আসার খবর পেয়ে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন দফাদারও হাজির হন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী প্রথম থানা ভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এলাকায় মুক্তি হামিদ ও গেরিলা হামিদ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
শুভসংঘের বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন আর কেউ তাকে দেখতে আসেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজীর স্ত্রী শহর বানু দুঃখ করে বলেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রথমদিকে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম ও সাবেক কমান্ডার মোহাম্মাদ আলী এসে দেখে গেছেন। এখন কেউ আর দেখতে আসেন না। দেশে বোধ হয় মানবতা উঠে গেছে। তিনি শুভসংঘের শুভ কামনা করেন।