দীর্ঘ অপেক্ষার পর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কেশবপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে নৌকার মাঝিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ০৩ ডিসেম্বর শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ০৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এ সব প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
গত ইউপি নির্বাচনে তারা নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন কিন্তু এবারের নির্বাচনে ৯ জনকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই ৯ জনের মধ্যে ৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন, অর্থাৎ বর্তমান ৫ জন চেয়ারম্যানসহ মোট ৯ জন নৌকা বঞ্চিত হয়েছে। ফলে ৯ ইউনিয়নের মানুষ আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী পেয়েছেন। বাকী ইউনিয়নগুলোতে বর্তমান নৌকার চেয়ারম্যানরা এবং গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিতরা নৌকা পেয়েছেন।
১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এস এম আনিছুর রহমান এবং জয়ী হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তাকে নৌকা দেয়া হয়নি। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শেখ ওহিদুজ্জামান মিন্টুকে।
২ নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো। কিন্তু এবার তাকে নৌকা দেয়া হয়নি। এবারের নির্বাচনে নৌকা পেয়েছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমানত আলীর ছেলে অলিয়ার রহমানকে।
৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন গাজী গোলাম সরোয়ার, কিন্তু এবারের নির্বাচনে তাকে নৌকা বঞ্চিত করে সেখানে ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মনোজ তরফদারকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে।
৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন ইব্রাহিম হোসেন। এবারের নির্বাচনে তাকে নৌকা দেয়া হয়নি। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে মাষ্টার সামছুর রহমানকে।
৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ফেল করেছিলেন আব্দুল কাদের বিশ্বাস। এবারও তাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
৬ নং কেশবপুর সদর ইউনিয়নে গতবার নৌকার মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন শাহাদাৎ হোসেন । এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন গৌতম রায়।
৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নের গতবার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম মুকুল । এবার তাকে নৌকা বঞ্চিত করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জসীম উদ্দীন।
৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়নে গতবারের নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুস সামাদ। এবার তাকে বঞ্চিত করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবড়িয়া মনিকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
৯ নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে গতবার নৌকা মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। এবারও তাকে নৌকা মার্কা দেয়া হয়েছে।
১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে গতবার নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন সামছুদ্দিন দফাদার। এবার তাকে বঞ্চিত করে সামছুন্নাহারকে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে গতবারের নির্বাচনে শহীদুজ্জামান শাহীনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচেন ওই ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ০৫ জানুয়ারি পঞ্চম দফায় কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর, বাছাই ১২ ডিসেম্বর, ্রপ্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ ডিসেম্বর। প্রতিক বরাদ্দ ২০ ডিসেম্বর। ভোট ৫ জানুয়ারি।