পরেশ দেবনাথ।। কেশবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রাম বাংলাার চিরায়ত ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠার দৃশ্য চোখে পড়ে যশোরের কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে। আর ঘুড়ি উড়ানোর মজা নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মেঘহীন প্রতিটি বিকেলেই উপজেলার গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ও বিনোদন হিসেবে সব বয়সেরই মানুষ ঘুড়ি উড়িয়ে ব্যস্ত সময় পার করে।
বাঙালির ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানোর এ উৎসব নিত্যদিনই অনন্য এক বিনোদনের খোরাক। ঘুড়ি উড়ানোর ও সুস্থ বিনোদন বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির দাপটে এখন ঘুড়ি উড়ানোর চল নেই বললেই চলে। ব্যস্ততার যাতাকলে পিষ্ট নাগরিক জীবনে বাড়ির ছাদেও ঘুড়ি উড়ানোর প্রবণতা কমেছে। কিন্তু বছরের সময়ে প্রতিদিন বিকেলেই ঘুড়ি উড়ানোর রঙিন উৎসবে মেতে উঠে কিশোর-তরুণরা। প্রতিটি ঘুড়ির সঙ্গে যেন উড়ে বেড়ায় তাদের উচ্ছ্বাল মনও।
কথা হয় উপজেলার বিদ্যানন্কাটি ইউনিয়নের বাপ্পা ঘোষ, রুহুল আমিন, মউ্গলকোট ইউনিয়নের রনজিৎ দাস, কেশবপুর ইউনিয়নের রহমত আলী, পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাবুরালী, রাকিবুল ইসলাম , শিমুল হোসেন, মফিজুর রহমান, মতিয়ার রহমান ও আলমগীর হোসেন আলমের সাথে। তারা জানান, ঘুড়ি উড়ানোর মজাই আলাদা। আমরা নানা রঙের কাগজ দিয়ে ঘুড়ি বানিয়ে প্রতি বছরই এ সময়টায় উড়াই। যখন নানা রঙের ঘুড়ি আকাশে এক সাথে উড়ে তখন এটা দেখতে মজাই আলাদা।
ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য তুলে ধরে উপজেলার বেলোকাটি গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান। এখন ধান কাটা শেষ। সবাই বাড়ীতে বসে অলস সময় পার করছে কাজও নেই তেমন। প্রতিদিন বিকেলে নানা বয়সের মানুষ নানা রঙের ঘুড়ি উড়ায়। আর ঘুড়ি উড়ানোর মজাই আলাদা। আমরা সবাই মিলে ঘুড়ি উড়ায়। তিনি আরও বলেন, ঘুড়ি উড়ানো বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে এ উৎসব। তবে নির্মল আনন্দের বার্তা নিয়ে এখনো গ্রাম বাংলায় টিকে রয়েছে ঘুড়ি উড়ানো। গ্রাম বাংলার এই ঘুড়ি উৎসব টিকে থাকুক সবসময়। বিদ্যাানন্দকাটি গ্রামের বাপ্পা ঘোষ জানান, আগে বাড়ীতে নিজেরাই ঘুড়ি বানাতাম, এখন দোকানে দোকানে রং–বেরং, বিভিন্ন পাখি, মানুষাকৃতিএর ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে।