পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কক্সবাজারে আটক ইকবাল হোসেনকে কুমিল্লায় আনা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর রাতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে নিতে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম কক্সবাজারে আসে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ইকবালকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই কুমিল্লা জেলা পুলিশের ওই টিম ইকবালকে নিয়ে রওনা দেয়। ইকবালের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবালকেও চিহ্নিত করে।