কেশবপুরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্বে অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহবধু চায়দ দাস। এলাকার মেম্বার আসাদুজ্জামান প্রভাব খাটিয়ে তার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে খোরপোষের টাকা আতœসাত এবং পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানির অভিযোগ করে শুক্রবার সন্ধায় এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
উপজেলার ভেরচি গ্রামের গোবিন্দ দাসের স্ত্রী চায়না দাস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন গত ১৪ মে দুপুরে উপজেলার ভেরচি গ্রামের চায়না দাসের ভাসুর অশোক দাসের গাছ থেকে ১টি জামরুল পাড়াকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে পরের দিন রাত সাড়ে ১০টায় ভেরচি গ্রামের মেম্বার আসাদুজ্জামানের নের্তৃত্বে শরিফুল খা, হামিদ মোল্যা, মিন্টু সরদার, সুধাময় কুন্ডু, রাজ্জাক সরদারসহ ৮/১০ জন যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করে চায়না দাস, তার স্বামী গোবিন্দ দাস, ননদ পারুল দাস ও মেয়ে লক্ষীদাসকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মারাতœক জখম করে। এলাকাবাসি তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় চায়না দাস বাদি হয়ে মেম্বার আসাদুজ্জামানসহ ৬ জনের বিরুদ্বে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের সূত্র ধরে উক্ত মেম্বার চায়না দাসের ছেলে সুমন দাসকে ১৬ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানার গেটের সামনে পেয়ে ভীতিকর হুমকিসহ স্বপরিবারে ভারতে তাড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানায়।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সুমন দাস কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং- ৬৯১/২১। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ওই মেম্বার প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ে লক্ষী দাসের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে খোরপোষের ৫০ হাজার টাকা আতœসাত করেছেন। এই টাকা চাওয়ায় মেম্বার তার বাহিনী নিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানি করে চলেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ সময় তার স্বামী ও তার ছেলে উপস্থিত ছিলেন।