রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ছলেমান ডাক্তারের পুত্র ছিল আনছার। তার অন্য দুই ভাই আশিকুল এবং কুতুবউদ্দিনও রাজাকারের খাতায় নাম লেখায়। রামকৃষ্ণপুরের পাশে বর্ণী ইপিআর ক্যাম্পে পাক সেনাদের সাথে থাকত আনছার। বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের ধরে এনে ওই ক্যাম্পে পাকসেনাদের সরবরাহ করত আনছার।
১৯৭১ সালের ৫ জুন গ্রামের ৬ জনকে আনছার রাজাকারের সহযোগিতায় ধরে নিয়ে পাকিবাহিনী বেয়নট দিয়ে খুচিয়ে জীবন্ত কবর দেয়। এরপর ওই ক্যাম্প থেকে আনছার আর বাইরে বের হতো না। বয়রা সাব-সেক্টরের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ওই ক্যাম্পে কয়েকবার অভিযান চালায়।
যাইহোক ওই ঘটনার পর গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় আনছার রাজাকারের দুই ভাই কুতুব ও আশিকুল। রামকৃষ্ণপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ভারতের বনগাঁ মহকুমার বাগদা থানার মধুপুর গ্রামে এক আত্বীয় বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই গ্রামটির অবস্থান ঝিনাইদহের মহেশপুরের গোপালপুর সীমান্তের ওপারে। তারা এখনও সেখানে বসবাস করছে। আর বর্ণী ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে নিলে পাকসেনাদের সাথে আনছার রাজাকারও চলে যায়।
দেশ স্বাধীনের পর জানা যায়, আনছার রাজাকার পাকসেনাদের সাথে পাকিস্তানে চলে গেছে। সেখানেই বিয়ে করে সংসার করছে। গ্রামবাসী জানায়, পাকিস্তানে চলে যাবার পরও এলাকায় তার আত্বীয়-স্বজনদের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। কয়েক বছর আগে মারা যাবার পর আর কোন যোগাযোগ নেই।